বিগত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কিন্তু এবার ভারতের কাছে মাথানত করতে হল চীনকে। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চীন।
দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে একেবারে তলানিতে। তবুও ভারতের কাছে হাত পাততে হচ্ছে চীনকে। ভারতের মতো চীনের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। সেই ভাতের টান পড়েছে চীনে।
চীনে যে পরিমাণ ভাত খাওয়া হয় সে পরিমাণে ধান উৎপাদিত হয় না। সুতরাং সালের জন্য অন্যান্য দেশগুলোর ওপরই নির্ভর করতে হয় চীনকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪০ লক্ষ টন চাল আমদানি করে চীন।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চা রপ্তানি কারক দেশ হলো ভারতবর্ষ। তবে বিগত ৩০ বছর ধরে ভারত থেকে চাল আমদানি করত না চীন। তার পরিবর্তে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করত তারা।
চীনের দাবি ছিল, ভারতবর্ষের চালের মান নাকি খুব একটা ভালো নয়। তাই ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দেয় তারা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সমস্ত দেশ থেকে চীন চাল আমদানি করত, তাদের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ফলে তারাও আগের মতন চীনকে চাল রপ্তানি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সেসব দেশের চাল রপ্তানি করলেও তার দাম অত্যধিক। তাই চরম সংকটের মুখে পড়েছে চীন। তাই ভারতের কাছে বর্তমানে হাত পাততে হচ্ছে চীনকে। সূত্র অনুযায়ী খবর, ভারতের সঙ্গে চীনের এক লক্ষ টন চাল কেনার চুক্তি হয়েছে।
পরিবর্তে ভারতকে ৩লক্ষ ডলার প্রতি টন দেবে চীন। এই প্রসঙ্গে, ভারত চল রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধা ,বিভি কৃষ্ণরাও জানান,”তিন দশক পর ভারত থেকে চাল কিনছে চীন। ভারতীয় চালের গুণমান দেখা তারা আরোও চাল কিনতে পারে।”