“ধর্মঘটে রাজ্যের ভূমিকা তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত স্পষ্ট করবে”, মন্তব্য বিমান বসুর

দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক ও কৃষক ইউনিয়নগুলি। রাজ্যের বাম কংগ্রেস জোট সেই ধর্মঘট কে সমর্থন জানিয়েছে। এই ধর্মঘট কে সফল করতে কলকাতায় মহামিছিলের আয়োজন করা হয়।

এদিনের মিছিল ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় মল্লিক বাজারে। মহামিছিলে অংশগ্রহণ করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বাম নেতৃত্ব।

মিছিলের শুরু হওয়ার মুখে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, তারিখের ধর্মঘটে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক, কৃষক ও কর্মচারি ইউনিয়ন সমর্থন জানালেও বিজেপি ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করেনি।

কেন্দ্রের চালু করা নতুন কৃষি ও শ্রমিক আইনের বিরুদ্ধে আজকের মিছিল। সেদিন রাজ্য সরকারের ভূমিকা আবারো একবার প্রমাণ করে দেবে যে,তৃণমূল ও বিজেপি তলায়-তলায় আঁতাঁত করে আছে। ধর্মঘট ভাঙ্গতে এলে বামপন্থীদের সঙ্গে ল’ড়াই করতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিমান বসু।

এদিকে রাজ্যের শিক্ষক মহলের একটি অংশ ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট সমর্থন করল। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং জাতীয় ফেডারেশনগুলি শ্রম ও কৃষি আইন বাতিল-সহ কয়েকদফা দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার, শিক্ষক নেতা বিশ্বজিৎ মিত্র, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর-সহ শিক্ষা মহলের একটি বড় অংশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,”কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে আলোচনা না করে, একতরফা ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে সর্বস্তরের মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও শ্রমের বিনিময়ে যে প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি হয়েছিল এবং তার ফলে যে রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পসংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় সরকার এক কথায় দেশের ধনকুবের গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির ডাকে আমরা আগামী ২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।”