বসিরহাটবাসীদের অভাব-অভিযোগ শুনতে “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির পরিদর্শনে গেলেন নুসরত

১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে প্রকল্প চালু হয়েছে। বাঁকুড়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্প অনুযায়ী, প্রশাসনিক কর্তারা মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনবেন।

এছাড়া কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে কেউ বাদ পড়লে তার নাম নথিভুক্ত করা হবে। রাজ্য সরকারের মোট ১১ টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের মানুষ। বসিরহাটের এই প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে না চলছে সেই বিষয়েই তদারকি করতে এলেন সাংসদ নুসরত জাহান।

এদিন এলাকায় গিয়ে মানুষের সমস্ত কথাবার্তা থেকে শুরু করে অভাব অভিযোগ শোনেন নুসরত জাহান। তাঁকে কাছে পেয়ে বসিরহাটের মানুষজন খুব খুশি। আম্ফান থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নুসরত নিজের বিধানসভা এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। তার প্রতিটি কাজ আজ মানুষকে প্রভাবিত করছে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুসরত বলেন,” এখানে রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। রাজনীতির কোনও বিষয় এখানে নেই। আমি দেখেছি মানুষ ভালো আছে কিনা দেখতে। এটাই দিদি চেয়েছে।সবাই ভালো থাকুক, সবার পরিবার, বউ-বাচ্চা খেয়ে পরে বাঁচুক।এটাই হচ্ছে, আমদের এটাই স্বপ্ন”।

তিনি আরও বলেন,”মানুষের মুখে হাসি দেখছি, তাঁরা জানে মানুষ সুরক্ষিত। মানুষ সুবজ সাথী পাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছে। খুব সুন্দরভাবে এখানে ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে আমাদের এখানকার নেতৃত্বের তরফে।… বাংলায় কিন্তু সত্যি ভালো থাকাটা সহজ”।

এই “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” অভিযান ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ১-১১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত প্রথম ধাপ। মত ৪টি ধাপে পরিষেবা পৌঁছবে মানুষের কাছে। পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড স্তরে মোট ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে।

এক ছাতার তলায় মিলবে সেরা ১১টি প্রকল্পের পরিষেবা। জানানো যাবে যাবতীয় অভাব অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী, কাস্ট সার্টিফিকেট, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, খাদ্যসাথী, ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষক বন্ধু এবং ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মোট ১০টি প্রকল্পে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল নবান্ন। ওই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে শিক্ষাশ্রী। এভাবেই এগিয়ে যাবে “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি।