







বিজেপিতে কাজের সুযোগ কমে আসছিল। বাংলার হয়ে কাজ করার জন্য বড় সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, “মমতাদিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত”।




মাত্র কয়েক মাস আগে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই থেকে ক্ষোভ জমেছিল বাবুলের মনে। ফেইসবুকের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই থেকেই বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।




পরে অবশ্য সাফাই দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাবুল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। তবে অমিত শাহ এবং নড্ডাদের অনুরোধ আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ছেন না তিনি। সেই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মাসখানেক কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্ত বদলালেন বাবুল সুপ্রিয়।




কেন করলেন সিদ্ধান্ত বদল? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণার পরই বহু মানুষের বার্তা পেয়েছেন। বাবুলকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য আর্জি জানিয়ে ছিলেন তারা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, তার পরেই তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। রাজনীতি ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নাটক ছিল না বলেই দাবি বাবুলের। শেষ তিন দিনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সামনে যে সুযোগ এসেছে, সেটাই তিনি দু’হাত ভরে গ্রহণ করেছেন বাবুল।
বাবুল বলেন, “রাজনীতি ছাড়ার কথা মন থেকেই বলেছিলাম”। প্রত্যেকে বলেছিলেন যে আবেগের বশে রাজনীতি ছেড়ে ফেলেছেন। আমি অত্যন্ত গর্বিত। মমতাদিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি, আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু ট্রেন্ডিং হবে। আমার মনে যেটা ট্রেন্ড করছে, সেটা হল যে আমার সামনে সুযোগ এসেছে, তার জন্যই কাজ করব মন দিয়ে”। দল পরিবর্তনের জন্য বাবুল আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন কিনা, তা জানাননি তিনি। আগামী সোমবার মমতার সঙ্গে দেখা করবেন বাবুল।