







শুধু পশ্চিমবঙ্গের উপ নির্বাচন নয়। সারাদেশের প্রতিটি রাজ্যের উপনির্বাচনে ধরাশায়ী অবস্থা হয়েছে বিজেপির। বিজেপি সাংঘাতিক রকম ধাক্কা খেয়েছে রাজস্থান, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা নগর হাভেলি এবং হিমাচল প্রদেশে। উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে ছেড়ে আসা দলকে আক্রমণ শানালেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, যা পাওয়ার কথা ছিল তাই পেয়েছে বিজেপি।




উপ নির্বাচনে বিজেপির এই ফলাফল তাদের কাছে অশনি সংকেত স্বরূপ। তাই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে চলেছে বিজেপি। উপনির্বাচনের পড়ে অনেকেই বলছেন, মমতা ৪–মোদি ০। সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। টুইট করে তিনি লিখলেন, “উপনির্বাচনে দারুণ জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন। যা প্রাপ্য সেটাই পেয়েছে বিজেপি। দেখব দলের অনুগত কর্মীদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার, পিছন থেকে ছুরি মারা জনতা বিরোধী দলের অযোগ্য নেতারা ২০২৪ সালে কত আসন জিততে পারে”।




বর্তমানে বিজেপির মুখ রক্ষা করছে শুধুমাত্র অসম। তাই বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে লেখেন, “যে বিজেপি নিজের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, হেনস্থা, পিছন থেকে ছুরি মারছে তারা ভারতের নাগরিকদের জন্য কতটা ভালো করতে পারে। দলের জন্য ঘাম ও র”ক্ত দিয়েছে কর্মীরা। দেখে নিন বিজেপির কতজন প্রবীণ নেতা এখন দলের তীব্র বিরোধী”।




রাজনৈতিক কলাকুশলীরা মনে করছেন, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির যখন ধরাশায়ী অবস্থা তখন বাবুল সুপ্রিয়র এই টুইট কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার মতো। মন্ত্রিসভা থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই নানান টুইট করেছেন তিনি। বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে বাবুল। এখনো তাই করবেন এটাই স্বাভাবিক।