উন্নয়নশীল পর্যায় থেকে দেশ উন্নত হচ্ছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানাচ্ছেন, গত দশ বছরের তুলনায় সামগ্রিক সময়ে নাকি দেশের অর্থনীতি উন্নত হয়েছে।
জিডিপি ভালো। দেশে বড় বড় ফ্লাইওভার হচ্ছে, থিম পার্ক হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। আন্তজার্তিক শিখরে,
গোল্ডেন গ্লোব পাচ্ছে দেশ, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে, মিস ইউনিভার্স হচ্ছে, অর্থনীতিতে নোবেল আসছে… এতকিছুর পরেও রাস্তায় শুয়ে থাকা,
View this post on Instagram
মানুষ এবং পেটের দায়ে শিশুশ্রমের শিকার হওয়া মানুষদের জীবনে উন্নতি ঘটছে না। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার হালত খারাপ। বেকারত্ব ঘরে ঘরে। লাখ লাখ যুবক উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি নিয়ে বসে রয়েছেন ঘরে। তাদের শিক্ষা কোনো কাজেই লাগছে না। লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক যুবতী সম্মানজনক একটা কাজের জন্য বছরের পর বছর লড়াই করছেন। পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। কর্মহীনতার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ। মাস্টার্স পিএইচডি করা ছাত্র-ছাত্রীরা হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষিত ছেলেরা চপ ভাজছে, টোটো চালাচ্ছে। এর থেকে হৃদয়বিদারক আজকের দিনে আর কিছুই নেই। একটি সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি কিশোরী, বয়স আট নয়ের বেশী নয়। চেহারায় অপুষ্টি অথচ মুখ ভরা মায়া। মলিন পোশাকে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে ঘর সাজানোর সামগ্রী। একটি বাঁশের বাঁধা সেগুলি। আর তাঁর সাথে কথা বলতে এগিয়ে আসে পথের পাশে থাকা দুটি শিশু। তাদেরও ছেঁড়াখোঁড়া পোশাক, ধুলোমাখা পা। তাঁরা ভাইবোন বলে মনে হয়।