জয় সিয়ারাম বলিয়ে ছাড়ব, অমিত শাহর ‘জয় শ্রীরাম’কে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক

রাজ্য রাজনীতিতে এবার স্লো’গান বিতর্ক। একদিকে “জয় শ্রীরাম” অন্যদিকে “জয় সিয়ারাম”। দিন কয়েক আগে কোচবিহারের জনসভা থেকে,

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “ভোট শেষের পর জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।” এবার তার জ’বাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হু’ঙ্কা’র, “বিজেপি নে’তাদের জয় সিয়ারাম বলিয়ে ছাড়ব।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কু’লপিতে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেখান থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আপত্তি রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে এসেছে।

অ-‘স্ত্র হিসেবে তৃণমূলের হাতেও রয়েছে “জয় সিয়ারাম” ধ্বনি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই শ্লোগান বি’ত’র্ক একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকবে।

শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা এবং রোড শো দুইই অনুষ্ঠিত হয়। পু’রান মতে সীতা এবং রাম কে একত্রিত ভাবে সিয়ারাম বলা হয়। সিয়ারাম শব্দটিতে পুরু’ষতা’ন্ত্রিক আ’স্ফালন নেই। সীতাকে তথা না’রীশ’ক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে মানুষের মুখের সিয়ারাম ধ্বনি শোনা যায়। সেখানে রাজনীতির কোন গ’ন্ধ নেই। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না’রীশ’ক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে “জয় সিয়ারাম” ধ্বনি ব্যবহার করেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভি’যোগ, বিজেপি নেতাদের সেটুকু বোধ নেই, তাই তাঁরা “সিয়ারাম” খা’রিজ করে “শ্রীরামে” ঝুঁকেছেন। আর বাংলার মাটিতে না’রীরা সর্বকালের শ্র’দ্ধেয়।

বাংলা মানেই হল মা। তাই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে “জয় শ্রীরাম” স্লো’গানের চেয়ে নারীশ’ক্তিকে স’ম্মান জানিয়ে “জয় সিয়ারাম” স্লো’গান বেশি আ’লোড়ন ফেলবে বলে মনে করে তৃণ’মূল নেতৃ’ত্ব।