“‌ভাষাজ্ঞান ঠিক না করলে ওর এই অবস্থাই হবে” দিলীপ কে পাগল বলে কটাক্ষ অনুব্রতর

আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গেলে তার কনভয়ে ইট বৃষ্টি শুরু হয়। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কে।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ,রাজ্যের শাসকদল ও অন্য কিছু সমাজবিরোধী দল তাঁর গাড়ির উপর হা’মলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গ দিয়েছে পুলিশও,দাবি দিলীপের। যদিও দিলীপ ঘোষের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

রাজ্যের পুর ও নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় গান্ধীবাদী নীতিতে বিশ্বাসী, তাই এই কাজ তারা করতেই পারে না। ফিরহাদ বলেন,”তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজনীতি করে না।

এই গাড়ির ওপর হা’মলা, মাথা ফাটানো, খু*’ন করা— এই রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা গান্ধীবাদে বিশ্বাস করি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মানুষকে নিয়ে চলার কথা বলেন। আমাদের দলে এই রাজনীতি হয় না। আইন আইনের পথে চলবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে কটাক্ষ করে “পাগল ছাগল” বলে সম্বোধন করেছেন। অনুব্রত বলেন,”পাগল লোক, ছাগল লোক— কখন কী বলে জানে না।”

তিনি আরও বলেন,”ভাষাজ্ঞান ঠিক না করলে ওর এই অবস্থাই হবে। সব সময় মানুষকে আজেবাজে ভাষা বললে মানুষ কি মেনে নেবে?‌ মানুষ মেনে নেবে না”।

এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, এসম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডল কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”সে কে রয়েছে, কী রয়েছে— ও সব পরে হবে। ও আগে নিজের ভাষা ঠিক করুক। আজ মানুষ ওর গাড়ি ভাঙছে, কাল ছাগল, কুকুর, বিড়ালে করবে”।

আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন,”তৃণমূল কংগ্রেস এই নোংরা রাজনীতি করে না। এ সব বিজেপি–র ছক।

বিভিন্ন রাজ্যে কীভাবে রাজ্য সরকারকে দোষী প্রমাণ করবে সেই চেষ্টা করে বিজেপি। আর বার বার ৩৫৬ ধারার কথা বলে নিজের অনৈতিক ভাবমূর্তি প্রকাশ করছে গেরুয়া শিবির”।

তার অভিযোগ,”পাহাড়ের মানুষ, চা–বাগানের মানুষ বিজেপি–র থেকে মুথ ফিরিয়ে নিয়েছে। গত কয়েক মাসে ক’রোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি–র কোনও নেতা–সাংসদকে উত্তরবঙ্গের মানুষ রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থাকতে দেখেনি। করোনা আ’ক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াননি কোনও বিজেপি নেতা”।