আপাতত কৃষি আইনের সমর্থনে প্রচার নয়! নির্দেশ অমিত শাহের

বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে এখন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা কয়েকদিন আগেই হরিয়ানার কার্নলে কৃষি আইনের সমর্থনে হতে চলা মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে তাণ্ডব চালান।

মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের ওই মঞ্চেই বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি আইন নিয়ে এখন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন অমিত শাহ।

সরকার, কৃষক এবং পুলিশের মধ্যে যাতে কোনো সংঘর্ষ শুরু না হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী কানওয়ার পাল গুজ্জর বুধবার একথা জানান।

হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী বলেন,”কার্নলে যা হল, সেটা দেখার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপাতত রাজ্যে কৃষি আইনের পক্ষে কর্মসূচি নিতে নিষেধ করে দিয়েছেন। আমরা কোনওভাবেই কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না।”

এখানেই শেষ নয়। তাঁর দাবি,”গোটা রাজ্য দেখেছে যে সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার কথা ছিল, সেখানে কৃষকরা কী পরিস্থিতি করেছে। আমরা আর অশান্তি চাই না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত দুই দিন আগে হরিয়ানার কার্নলে কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপির এক সভায় ঝামেলা অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী,মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে সভাস্থলে বহু বিক্ষোভকারী তাণ্ডব চালায়। মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি চেয়ার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই অশান্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিলেন অমিত শাহ।

কৃষি আইন নিয়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকার এমনিতেই চাপে রয়েছে। হরিয়ানার ৬০টিরও বেশি গ্রামে বিজেপি এবং জেজেপি নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নোটিশ বোর্ড টাঙিয়ে বিজেপি তথা জেজেপি বিধায়ক এবং নেতাদের প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।

নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলি।সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন একাধিক বিধায়ক। তাই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন অমিত শাহ। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবার কারণে উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।