“সরকার অযোগ্য! পুজো নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ আদৌ পালন হবে?”, সংশয় অধীরের

রাজ্যজুড়ে দুর্গাপূজা নিয়ে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পুজো উদ্যোক্তারা ছাড়া জনসাধারণের মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মেনে চলতে হবে ক’রো’না বিধি। কিন্তু আদালতের এই রায়ের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ করবেন কিনা সে সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছে বাম এবং কংগ্রেস।

কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর আবেদন,আনন্দের উৎসব যাতে শোকে পরিণত না হয় সেদিকে সরকারকে নজর দেওয়ার।

সুজন চক্রবর্তী বলেন,”সরকার এতদিন বলেছে যেন গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটির মনোভাব অনুযায়ী তিনদিক খোলা মণ্ডপ হয়। তাহলে তিনদিক খোলা থাকলে মানুষ সেখান থেকে প্রতিমা দর্শন করে চলে যেতে পারবেন। ভিতরে ঢোকার দরকার হচ্ছে না।

হাই কোর্টের রায়ের সঙ্গে এই বিষয়টি একেবারেই বেমানান হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই বেশি ভিড় হোক চাইছেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেছেন। তাহলে তৃণমূল নেতৃত্ব কেন আদালতে নির্দেশ নিয়ে উলটোপালটা বক্তব্য রাখছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।”

ঈদের সময় ঘরে বসে নামাজ পাঠ করার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। তাহলে দুর্গা পুজো নিয়ে আদালতের রায়ে বেরিয়েছে সে সম্পর্কে শাসকদলের কেন সমস্যা হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

স্বয়ং অধীর রঞ্জন চৌধুরী হাইকোর্টের রায় কে সম্মান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,”সরকার অযোগ্য, অদক্ষ। তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তাই কোর্টের রায় আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তাঁর কথায়,ক’রো’না পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারের কি অবস্থা হয়েছে তা দেখেছে সকলেই। তাই দুর্গোৎসব পালন করতে সাধারণ মানুষের উচিত আগে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

সাংসদ ও পুজো সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন,”ভিড়ে ক’রো”না পালিয়ে যায় বলে তৃণমূল প্রভাবিত একটি পুজো কমিটি হলফনামা দিয়েছে। নিজেদের স্বার্থে তৃণমূল নেতারা মানুষকে বিপদে ফেলতে পিছপা হন না”।