শুধু পঞ্চায়েত প্রধান হলেই গাড়িবাড়ির ছড়াছড়ি! কিন্তু ৪বার বিধায়ক হয়েও পাকা বাড়ি করতে পারেননি ইনি

বিধায়ক হয়েছেন অথচ নিজের আখের গোছান নি এহেন কথাই যেন বেমানান আর বাস্তব তো দূর। প্রায় সমস্ত বিধায়ক যেখানে কোটিপতি , চার-পাঁচ তলা বাড়ি আর দামি দামি গাড়ির ছড়াছড়ি সেখানে তাঁদের মাঝে মেহেবুব আলম বড়ই বেমানান।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে জানতে পারা বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থেকে সিপিএমের হয়ে চারবার বিধায়ক মেহেবুব আলমের সাধারণ জীবনযাত্রার মানও দেখে হতভম্ব সকলেই।

মেহবুব টানা চার বার বিধায়ক হয়ে সত্বেও আশ্চর্যজনক ভাবে তার এখনো একখানা পাকা বাড়ি পর্যন্ত নেই। ৪৪ বছর বয়সী মাহবুব আলম ক্লাস টেন পাশ আর পেশায় চাষবাসের কাজ করেন।

মেহবুব মাথা উঁচু করে সৎ ভাবে বাঁচতে চান।কোথাও যেতে হলে তার 2 চাকার যানে করেই জানে। তাঁর সম্পত্তি বলতে কিছু নেই শুধু একখানা কাঁচা বাড়ি আর চাষের কিছু জমি যা দিয়ে তার দিন গুজরান হয়।

এমনকি নেই কোনো জমানো অর্থ ও। তাই নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় শূন্য লিখেছেন তিনি।

জনপ্রতিনিধি বলতে মেহবুব বিরাট বাড়ি গাড়ির মালিক হওয়া বোঝেন না, তিনি বোঝেন মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে । দুর্নীতিতে ভরা ভারতীয় রাজনীতির উঠোনে তিনি একা সততার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বলরামপুরের মানুষের মনে তাঁর জায়গা অনেক উঁচুতে।

ভাকপা মালের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সিপিএইএমের বিধায়ক মেহবুব বলরামপুর সিট থেকে ৫৩ হাজারেরও বেশি ভোট ব্যবধানে জিতেছেন। তিনি এবার বিহার নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোট ব্যবধানে জয়ী প্রার্থী।

মেহবুব আলমের মতো মানুষরাই এখনো দেশবাসীকে বিশ্বাস ও ভরসা যুগিয়ে চলেছেন যে সকল রাজনৈতিক নেতাই খারাপ হয় না, সংখ্যায় কম ভালো রাজনৈতিক নেতা আছে কিন্তু আছে।

আমরা অনেকেই ভাবি ‘আমি একা ভালো হলে কি হবে?’ কিন্তু মেহবুব সকলকে শিখিয়ে দিলেন, চারপাশে কাদার ছড়াছড়ি থাকলেও নিজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা যায়।