“একুশে জেতার পর পুলিশকে দিয়ে জুতো চাটাব”, ফের বেফাঁস মন্তব্য রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আবারো বেফাঁস মন্তব্য করলেন  বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে দিকে জুতো চাটানোর মতন হুমকি দিয়ে বসলেন তিনি।

বুধবার পুরুলিয়ার মানবাজারে বিজেপির পক্ষ থেকে এক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। এরপর হাসপাতাল মোড় থেকে রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”এক শ্রেণির পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তাঁদের আর থানায় রেখে কী লাভ! তাঁদের থানা থেকে তুলে জুতো চাটা করাব।

যত কেস দেবে দাও। এক লক্ষ ৮০ হাজার মিথ্যা মা’ম’লা দিয়েছ। আর ছ’মাস পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা হবে।”

এদিন তিনি “শোলে” সিনেমার ডায়লগ অনুকরণে বলেন,”পুলিশ আর গুন্ডা তেরা কেয়া হোগা কালিয়া? যারা ভাবছে লুঠ করে ভোট করবে তাঁদের বলছি দিদির পুলিশ নয়, দাদার পুলিশ দিয়ে ভোট হবে।”

বুধবার পুরুলিয়ার মনবাজারে ইন্দকুড়ি থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে মিছিল শুরু হয়। এদিনের মিছিলের স্লোগান ছিল “পরিবর্তনের লক্ষ্যে মহামিছিল”। গত লোকসভা নির্বাচনে মানবাজারের বিজেপি লিভ নিতে পারেনি।

এবছর বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া মানবাজারকে পাখির চোখ করেছে রাজ্য বিজেপি। এদিনের মহামিছিলের রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাজির ছিলেন,দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা।

পুরুলিয়ার মানবাজারের বিজেপির অনুষ্ঠিত মহামিছিলের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা–সংস্কৃতি–তথ্য–ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু।

তিনি বলেন,”মানবাজার তৃণমূলের গড়। এখানকার মানুষজন ঘাস ফুল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু বোঝেন না। ফলে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কু’কথা বলে কিছু লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ সবই জানেন, সবই দেখছেন।”